ওয়েব ডেস্ক: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে আইনমন্ত্রী যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে তার পরিবার আবেদন করেছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেছেন- ‘আইনে কোনো সুযোগ নেই’। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। আইনে সুযোগ রয়েছে। যে ৪০১ ধারার কথা তারা বলছে, সেই আইনের মধ্যেই বলা আছে সম্পূর্ণ এখতিয়ার সরকারের আছে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ আলোচনা সভা করে এনপিপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার চাইলে তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দিতে পারে। সরকার চাইলে তাকে বিদেশে পাঠাতে পারে। সরকার চাইলে পুরোপুরি মুক্ত করে দিতে পারে।
খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একজন নেত্রী যিনি দুই শিশুপুত্র নিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর কারাগারে ছিলেন। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। দীর্ঘ নয় বছর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন গণতন্ত্রের জন্য।
তিনি বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে, জনগণকে রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে, আমাদের বাতিঘর বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্থ করতে হবে, মুক্ত করতে হবে।
ভিত্তিহীন মামলায় খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে টাকার কথা তারা বলেছে, যে টাকার মামলায় নেত্রীর সাজা হয়েছে, সেই টাকা এখন ব্যাংকে তিনগুণ, চারগুণ হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ, অহংকার এবং দাম্ভিকতার কারণে আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। কারণ তারা জানে যদি খালেদা জিয়া বাইরে থাকেন তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হতেন।
তিনি বলেন, দেশকে বাঁচাতে হলে, স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে, জনগণকে রক্ষা করতে হলে, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্থ করতে হবে, মুক্ত করতে হবে। তার সঙ্গে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জড়িয়ে আছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। দলটির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপি একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।